রোববার (১৬ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে শাজাহান খান এ মামলা করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য মামলাটি রাখেন।
মামলার অপর আসামি হলেন- কাদেরিয়া পাবলিকেশন্স অ্যান্ড প্রোডাক্টস লিমিটেডের পরিচালক আব্দুল কাদের।
গত ২৮ জুলাই ‘করোনা সনদ জালিয়াতিতে ধরা খেলেন শাজাহান খানের মেয়ে’ শীর্ষ প্রতিবেদন প্রকাশের অভিযোগে এই মামলা করা হয় বলে জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘এবার করোনা সনদ জালিয়াতি করলেন সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের কন্যা ঐশী খান। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের এই সদস্যের কন্যা করোনা সনদ (কোভিড-১৯) জালিয়াতি করেন।
তিনি ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করে পজেটিভ রিপোর্টকে নেগেটিভ বানিয়ে বিদেশ যাওয়ার চেস্টা করে ধরা পড়েন। কাগজে ‘করোনা নেগেটিভ’ রিপোট জমা দিলেও দেশ ছাড়ার আগে ইমিগ্রেশনে অনলাইন চেকে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে বিষয়টি ধরা পড়লে ঐশীকে লন্ডন যেতে দেয়া হয়নি। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, ঐশী খানকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার শেরেবাংলা নগর ঢাকা এই ঠিকানায় কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ দেয়া হয়েছিল। শাজাহান খান সাংবাদিকদের জানান, এই সনদে স্বাক্ষর ছিল যে চিকিৎসকের তার নাম উল্লেখ রয়েছে এমডি বায়েজিদ বিন মনির।